স্পেনের ভ্যালেন্সিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানিয়েছেন, সুন্দরী মেয়েরা সামনে এলে ছেলেদের মানসিক চাপ বেড়ে যায় অনেকটাই। অপরিচিত সুন্দরী মেয়েদের ক্ষেত্রেই মানসিক চাপ বৃদ্ধির এই প্রবনতা বেশি।

দীর্ঘ ৯ বছরের গবেষণার পর তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। এই গবেষকদের দাবি, এই মানসিক চাপ কখনও কখনও এতটাই বেড়ে যায় যে, তার ফলে হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে! যদিও পুরুষেরা একটু সুন্দরী মেয়েদের বেশি পছন্দ করেন। অনেক সময় দেখা যায় কোনও সুন্দরী মেয়েকে রাস্তায় দেখে পুরুষের ইচ্ছে করে তার সঙ্গে আলাপ জমাতে। তার সাথে কথা বলতে। তার পাশে থাকতে।

পুরুষদের মধ্যে যারা নারীদের কাছ থেকে সবসময় দূরে থাকতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য সুন্দরীরা একটু বেশি ক্ষতিকর। কারণ তারা অন্যদের তুলনায় বেশি মানসিক চাপ অনুভব করেন। ৮৪ জন স্বেচ্ছাসেবী পুরুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে এই তথ্য।অধিকাংশ পুরুষই, কম বয়সী সুন্দরী নারীকে  আশেপাশে দেখলে প্রেমের সুযোগ আছে বলে ভাবতে শুরু করেন। খুব কম পুরুষই সুন্দরীদের পাশ কাটিয়ে চলতে পারেন।

যার ফলে, না চাইলেও পুরুষরা এসব নারীদের প্রেমে পড়তে বাধ্য। গবেষকরা জানান, ৮৪ জন স্বেচ্ছাসেবক পুরুষের ওপর টানা ৯ বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে তারা দেখেছেন সুন্দরী মেয়েরা কাছে আসার ৫ মিনিটের মধ্যেই ছেলেদের হৃদস্পন্দনের গতি অনেকটাই বেড়ে যায়। এই ৫ মিনিটের মধ্যেই ছেলেদের শরীরে ‘কোর্ট্রিসল’ নামের বিশেষ হরমোনের নিঃসরণ অনেকটা বেড়ে যায়। এই ‘কোর্ট্রিসল’ হরমোনের মাত্রাতিরিক্ত নিঃসরণের প্রভাবে ছেলেদের হৃদযন্ত্রের ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই পুরুষের হার্ট অ্যাটাকের কারণ নাকি নারী।